রম্যভূমির জনপদ রামু!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের দীর্ঘতম এবং বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। সারাবছরই দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে কক্সবাজারে। যেখানে একইসাথে পাহাড় -সমুদ্র আর সমতলের অপার দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে। কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা রামু। রামুতে রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। হিমছড়ি ঝর্ণা ও জাতীয় উদ্যানতো আছেই। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগান, আইসোলেটেড নারিকেল বাগান এ উপজেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
একই সঙ্গে পর্যটকদের নজর কাড়বে আধুনিক নকশা ও ইট পাথুরে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহারগুলোও। তার মধ্যে অন্যতম অশোক নির্মিত ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, উত্তর মিঠাছড়ির একশ ফুট গৌতম বুদ্ধ মূর্তি, জাদিপাড়ার পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত প্রাচীন বৌদ্ধ জাদী, পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার, কেন্দ্রীয় সীমা বিহার ও হাজারীকুল বৌদ্ধ বিহার।
নয়ানাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের রাজস্বী গ্রন্থের রম্যভূমি খ্যাত এ প্রাচীন জনপদে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। আর এসব দর্শনীয় স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশী অসংখ্য পর্যটক। পর্যটকদের যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে রম্যভূমি খ্যাত রামু।
এছাড়া রামুর দর্শণীয় স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো হিমছড়ি ঝর্ণা। কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিমছড়ি। হিমছড়ি যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা রয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে সমুদ্র আর পাহাড়ের মধ্যদিয়ে প্রাণচঞ্চলতায় জিপে কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে অনায়াসে পর্যটকরা বেড়িয়ে আসছে ঝর্ণাধারার প্রবাহমান হিমছড়ি। হিমছড়িতে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে একটি পিকনিক স্পট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করে সাগর ও পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করেন।
প্রাচীন পূরার্কীতিতে ভরপূর প্রাচীন জনপদ রামু। যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ রূপে সজ্জিত। তবে দু:খজনক হলেও সত্য যে এ উপজেলাকে এখনও পর্যটন নগরী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।
কিভাবে যাবেন: রামু থেকে হিমছড়ির দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে আধঘন্টা। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। টেক্সী, টমটম,বাস যোগে যাওয়া যায়। এছাড়া কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। ফলে এখান থেকে সবধরণের যানবাহন নিয়ে স্বল্প সময়ে হিমছড়ি যাওয়া যাবে।